Skip to main content

Learn Finance and Tech

ক্রেডিট কার্ডের EMI

EMI এর অর্থ হচ্ছে: Equated Monthly Installment

অনেকের মধ্যেই একটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে যে, ক্রেডিট কার্ডের সর্বমোট লিমিট যদি হয় ১ লাখ টাকা, তাহলে দেড় লাখ টাকার পন্য EMI করে কেনা যাবে। এটা সম্পূর্ণই একটা ভ্রান্ত ধারণা। কারণ আপনার ওয়ালেটে ১০০ টাকা থাকলে যেমন ১০১ টাকার পন্য কখনোই কেনা যাবে না, ঠিক একইভাবে ১ লাখ টাকার ক্রেডিট লিমিটের কার্ড দিয়ে তারচেয়ে বেশি টাকার পন্য কখনোই কেনা যায় না।

EMI সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকার কারণে অনেকেই মাত্র ২৫ হাজার টাকার FDR করে সেই FDR এর ৯০% ক্রেডিট লিমিটের ক্রেডিট কার্ড নিচ্ছেন। অথচ এই লিমিটের কার্ড দিয়ে আপনি কখনো ২৫ হাজার টাকার পন্য ক্রয় করতে পারবেন না, আর ১ লাখ টাকার পন্য EMI করে কেনা তো বহু দূরের কথা।

ধরুন আপনার কার্ডের সর্বমোট ক্রেডিট লিমিট ১ লাখ টাকা। নিয়ম হচ্ছে আপনি কার্ডের পুরো টাকা খরচ না করে, কার্ডে ৫ হাজার টাকা অবশিষ্ট রেখে ৯৫ হাজার টাকার পন্য EMI করে কিনলেন।

৫/১০ হাজার টাকা ক্রেডিট কার্ডে অবশিষ্ট রাখবেন এই কারণে যে, আপনার পূর্বের খরচ করা টাকার সুদ, ইন্স্যুরেন্স চার্জ, কার্ডের মেসেজ এলার্ট চার্জ, কার্ডের বাৎসরিক চার্জ আরোপিত হয়ে যেন ক্রেডিট কার্ডের বিলে ওভার লিমিট চার্জ আরোপিত না হয়।

যাই হোক, EMI করে পন্য ক্রয় করতে গিয়ে POS মেশিনে ৯৫ হাজার টাকা পেমেন্ট করা মাত্রই আপনার ক্রেডিট কার্ড থেকে ঘ্যাচাং করে ৯৫ হাজার টাকা ডেবিট করে ব্যাংক নিমিষেই নিয়ে নিবে। ফলে আপনার ক্রেডিট কার্ডের এভেইলেবল লিমিট থাকবে মাত্র ৫ হাজার টাকা।

তারপরে প্রতি মাসে মাসে EMI এর সুদসহ কিস্তির আসল টাকা আপনি মাসে মাসে ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করতে থাকবেন। ফলে আপনার কার্ডের ব্যালেন্স প্রতি মাসে বাড়তে বাড়তে আবারো একসময় ১ লাখ টাকায় পূর্ণ হয়ে যাবে।

যা জানা প্রয়োজন:

EMI করে পন্য কিনলে লস। কারণ EMI করার ফলে ব্যাংককে সুদ প্রদান করে যে পন্য ১ লাখ টাকায় কিনছেন, সেই একই পন্য EMI করে না কিনলে ৯০/৯৫ হাজার টাকায় কিনতে পারতেন। কারণ এতে EMI না করার ফলে অতিরিক্ত সুদ ব্যাংককে দিতে হচ্ছে না বলে।

এখন বলতে পারেন যে, আপনি সুদবিহীন ০% EMI এর আওতায় পন্যটি ক্রয় করছেন। আসলে মুলত ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। কারণ ০% EMI এর আওতায় যে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি যুক্ত পন্যটি আপনি ১ লাখ টাকায় ক্রয় করছেন। সেই একই পন্য আনঅফিসিয়াল ক্রয় করলে ৮৫/৯০ হাজার টাকায় কেনা যায়। মানে:

  1. অফিয়াল পণ্য ফুল পেমেন্ট করে কেন: পণ্যের মূল্য কম।
  2. অফিসিয়াল পণ্য 0% EMI করে কেনা: বাড়তি সুদ নেয় না ঠিকই, তবে পণ্যের মূল্য বেশি ধার্য করে বিক্রি করে।
  3.  সুদ দিয়ে EMI করে কেনা: পণ্যের মূল্য বেশি।
  4. আন-অফিসিয়াল পণ্য ফুল পেমেন্ট করে কেনা: পণ্যের মূল্য কম।
  5. EMI বিহীন কেনা: পণ্যের মূল্য কম।
মানে ০% ইন্টারেষ্টের EMI মানেই হল শুভঙ্করের ফাঁকি।

শেষ হয়েও শেষ হল না:

তবে কোন পছন্দের শখের জিনিস যদি টাকার স্বল্পতায় আপনার কিনতে খুবই বেশি ইচ্ছা করে, তাহলে আপনি উপরে বর্ণিত ২ নাম্বার, কিংবা ৩ নাম্বার পদ্ধতিটা চুজ করে পন্য কিনে মাসে মাসে ক্রেডিট কার্ডের ইনস্টলমেন্ট নিয়মিত দিয়ে গেলেন। ফলে টাকা জমিয়ে ফুল পেমেন্ট করে শখের পন্য ১ বছর পরে কেনার চেয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে শখের প্রয়োজনীয় পন্যটা কিনে এখনই হাতে পেয়ে গেলেন।


Mohammed Azharull Haq Bhuyan | Post Link | 26 May 2023 ·

  • Blog authors: Digest2025
  • Title: ক্রেডিট কার্ডের EMI
  • Last updated: 

Comments