Skip to main content

Learn Finance and Tech

Showing posts from May, 2025

Show All

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সমস্যা কী?

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সমস্যা কী? সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিবো কোথা? প্রধান সমস্যার কথা বলি- শেয়ারবাজারের লোকজন নিজের কাজটা বাদ দিয়ে বাকি সব কাজ করে বেড়ান। প্রথমেই সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কথা বলি- শেয়ারের দাম কমানো কিংবা বাড়ানো সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাজ নয়। বাংলাদেশের এসইসি বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করতে চাচ্ছে, করছে। কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লে এসইসি সেই কোম্পানিকে নোটিশ পাঠায়। জানতে চায়- অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কি না...। স্ট্রেঞ্জ! রিডিকিউলাস!! বিজার!!! যথাসময়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা কোম্পানির ডিউটি, রেস্পন্সিবিলিটি। কোম্পানি সেইটা না করলে এসইসির কাজ হলো কোম্পানির লোকজনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। এখন, এসইসি যদি জানতে চায়, ভাই, আপনি আইন ভাঙছেন?- কেমন লাগে? একটা কোম্পানির ২০ টাকার শেয়ারের দাম কয়েকদিনের মধ্যে বেড়ে ৪০ টাকা হলে এসইসি বেকুবের মতো কোম্পানির কাছে নোটিশ দ…

নতুন ব্যাঙ্কের প্রয়োজন নেই

একটা পুকুরে ৪০ টা মাছ। এরা খাবারের কষ্টে আছে, কারণ, পুকুরে ৪০ টা মাছের খাবার মতো পর্যাপ্ত খাবার নেই। পুকুরওয়ালা করলো কী, আরও ১০ টা মাছ পুকুরে ছেড়ে দিলো! এখন, মাছেদের মধ্যে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি কী অবস্থায় পৌঁছাবে? দেখা যাবে, সবল মাছেরা আরও সবল হচ্ছে, দুর্বল মাছেরা না খেতে পেয়ে আরও দুর্বল হচ্ছে। শেষে এক সময় দেখা যাবে, মাছেরা একে অন্যকে খেয়ে ফেলছে। একটা বাজারে ৪০ টা ছোট-বড়, নতুন-পুরাতন দোকান আছে। সবগুলো দোকানে একই পণ্য বিক্রি হয়। প্রয়োজনের তুলনায় দোকান বেশি হওয়ায় ক্রেতা নিয়ে দোকানগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগেই থাকে। এর মধ্যে বাজারে নতুন ১০ টা দোকানের অনুমোদন দেওয়া হলো। নতুন দোকানগুলো পুরাতন দোকান থেকে কিছু সেলসম্যান ভাগিয়ে নিলো। কিন্তু ক্রেতা আগেরগুলোই রইলো। দোকানগুলোর কী অবস্থা হবে? পণ্য যেহেতু একই, নতুন দোকানগুলো কম দামে বেচতে বাধ্য হবে। একটা কিনলে একটা ফ্রি টাইপের অফার দেবে। কিম্বা নিম্নমানের পণ্য কম দামে ক্রেতাদের গছাবে। পুরাতন দোকানগুলোকেও ক্রেতা ধরে রাখতে ন…

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যাংকের অনুমোদন

বাংলাদেশে ২০০৯ সালেই প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি ব্যাংক ছিলো। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১-২০২১ সময়কালে আরও ১৪ টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। বলাই বাহুল্য, এই সব ব্যাংকের অনুমোদন ছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 1. Citizens Bank (2021) পেয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রথমে তার মা, পরবর্তীতে তার বান্ধবী এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন। 2. Bengal Commercial Bank (2020) পেয়েছেন আওয়ামী সাংসদ মোরশেদ আলম। তার ভাই মো: জসিম উদ্দিন এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান। 3. Community Bank (2019) পেয়েছে পুলিশ। 4. Shimanto Bank (2016) পেয়েছে বিজিবি। 5. Meghna Bank (2013) পেয়েছেন আওয়ামী সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান। 6. Midland Bank (2013) পেয়েছেন আওয়ামী সাংসদ কাজী জাফরুল্লাহ। 7. Modhumoti Bank (2013) পেয়েছেন আওয়ামী সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস। 8. NRB Bank (2013) পেয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ। পরবর্তীতে দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান এটি দখল করেন। 9. NRB Commercial Bank (2013) এর…